মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস
ভারতের গুজরাতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে নদীতে, নিহত বেড়ে ১৪০
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ২৩:২৬
গুজরাটের মাচ্চু নদীর ওপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
অভিযোগ উঠেছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সংকেত নেওয়া হয়নি। সেতুর কোনো ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি।
রোববার সন্ধ্যায় এটি ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
গুজরাটের মোরবিতে নদীর ওপর যে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়েছে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
সেতু ফের চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এ বিপর্যয়। সংকীর্ণ সেতুটিতে রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন।
নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে কীভাবে লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।
সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সাত মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খোলা হয়।
রোববার সারা রাত ধরে মাচ্চু নদীতে উদ্ধারকাজ চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারীসহ অন্তত ২০০ জন উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিস ভাটিয়া বলেছিলেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি এই ট্র্যাজেডির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস।
গুজরাতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা বলেন, গত সপ্তাহে সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটির। আমরা এই দুর্ঘটনায় হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি... সরকার এই দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করছে।
গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
গুজরাটে রোববারই তিন দিনের সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাট সরকার চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।