আল-আকসার ইমামকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী ২০২৩, ০৯:২৬

ইমাম শেখ একরিমা সাবরি

ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ একরিমা সাবরিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তুলে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

ডেইলি সাবাহ’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইমাম শেখ একরিমা সাবরি ইসরায়েলের একজন কট্টর সমালোচক। তিনি অবৈধ ইসরায়েলি দখলদারদের সমালোচনা করে প্রায়ই বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এ কারণে এর আগেও তাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইমামের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছে, ইহুদি গোয়েন্দারা প্রথমে পূর্ব জেরুজালেমের আল-সুওয়ানেহ পাড়ায় শেখ একরেমা সাবরির বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে কোনো কারণ না জানিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন>>>ইরানে সরকারের সমালোচনা করায় লেখককে মৃত্যুদণ্ড

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, কোনো কারণ উল্লেখ না করেই বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম শেখ একরেমা সাবরিকে তুলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। ইমামকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন ইমাম শেখ একরেমা। তিনি ইহুদি বিরোধী কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। এর আগে বেশ কয়েকবার তিনি ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মুফতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ইমাম শেখ একরেমা।

এদিকে আল-আকসা মসজিদটি মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এই স্থানটিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। তাদের দাবি, প্রাচীন যুগে এখানে দুটি ইহুদি ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল।

আল-আকসা মসজিদটি অবস্থিত পূর্ব জেরুজালেমে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েলি দখলদাররা। এরপর ১৯৮০ সালে অবৈধভাবে পুরো শহরটি অধিগ্রহণ করে তারা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top