ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিকল

ফুকুশিমার ১০ লাখ টনেরও বেশি দূষিত পানি সাগরে ছাড়বে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২৩, ০৫:৫৫

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র

জাপান সরকার ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে নির্গত ১০ লাখ টনের বেশি দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়াতে চলেছে। সম্প্রতি দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই ঘোষণায় জাপানের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাপান সরকার জানিয়েছে, প্রথম পানি ছাড়া হবে প্রায় দুই বছরের মধ্যে; এতে স্টেশনটির পরিচালনা কোম্পানি টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) দূষিত পানি পরিশোধন করে ক্ষতিকর আইসোটোপ অপসারণ শুরু করার, অবকাঠামো নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন অর্জন করার সময় পাবে। পুরো প্রকল্পটি শেষ করতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও ফুকুশিমার মৎসজীবী ইউনিয়ন এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কিন্তু জাপান বলছে, ২০১১-র ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিকল হয়ে যাওয়া এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে নিষ্ক্রিয় ও পুরোপুরি রূপান্তর করার কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই পানি ছাড়া দরকার, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক প্লান্টগুলো থেকে একই ধরনের পরিশোধিত পানি নিয়মিত ছাড়া হয়।

“প্রতিষ্ঠিত মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনে চলার ভিত্তিতে আমরা মহাসাগরে ছাড়ার বিষয়টি নির্বাচন করেছি,” বিবৃতিতে বলেছে জাপান সরকার।

আরও পড়ুন: কর জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ডলার জরিমানা

ফুকুশিমা দাইচি প্লান্টে প্রায় ১৩ লাখ টন দূষিত পানি বিশাল সব ট্যাঙ্কে রেখে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রতি বছর প্রায় ৯১ কোটি ২৬ লাখ ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে আর স্থান সঙ্কুলানও আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দূষিত পানি থেকে শুধু ট্রিটিয়াম ছাড়া বাকি সব আইসোটোপ পরিশোধন করার পরিকল্পনা করেছে টেপকো। হাইড্রোজেনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম পানি থেকে পৃথক করা কঠিন। থেকে যাওয়া ট্রিটিয়ামের মাত্রা নিরাপদ সীমার নিচে না নামা পর্যন্ত ওই পানিকে আরও পাতলা করবে টেপকো, তারপর পাম্প করে পানি সাগরে ফেলবে।

দক্ষিণ কোরিয়া এক বিবৃতিতে গুরুতর উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের জনসাধারণ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।”

ফুকুশিমার মৎসজীবী ইউনিয়ন এসব পানি না ছাড়ার জন্য কয়েক বছরে ধরে সরকারের প্রতি আর্জি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, এ পদক্ষেপ মৎস শিল্পের ওপর ‘বিপর্যয়কর প্রভাব’ ফেলবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top