শ্রীলঙ্কা সংকট
শ্রীলঙ্কা থেকে ২ লাখ কর্মী নেবে সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২৩, ০৮:৪১
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারি, জাতীয় অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের অদক্ষতা, বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য দেশটির সরকার বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সরকারের সহায়তার অনুরোধে ইতোমধ্যে সাড়াও দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা ও অনেক দেশ।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মানুশা নানায়াক্কারা বলেছেন, চলতি বছরে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ লাখ কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার ৫৪ হাজার নাগরিককে কাজের সুযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। ওই বছরে আরও ৩ লাখের বেশি শ্রীলঙ্কান বিদেশে কাজের জন্য গেছেন; যাদের বেশিরভাগের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মাঝে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক রাজস্বের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির অভিবাসী শ্রমিকরাই কেবল প্রায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ১০-২০টি নয়, ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে কয়েকশ’ ট্যাংক প্রয়োজন: ইউক্রেন
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে ভাইদের নেতৃত্বাধীন সরকারের অব্যাবস্থাপনা, অযৌক্তিক কর কাটছাঁট, করোনা মহামারির কারণে পর্যটন ব্যবসায় ধস ও ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় দেশটির দুরবস্থার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণবিক্ষোভের মুখে গত জুলাইয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এক বছর আগের তুলনায় খাদ্যের দাম ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে শ্রীলঙ্কার রুপির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
সূত্র: সিনহুয়া, রয়টার্স।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।