• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


তুরস্ক ও সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটির বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার

তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ১০ হাজার ছুঁইছুঁই

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:৫০

তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্প

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১০৮ জন। আর সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওযা গেছে। দুই দেশ মিলিয়ে এই মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৭৮ জন। খবর বিবিসির । 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, উদ্ধারকারীরা অনেক মৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করছেন। তাই নাটকীয়ভাবে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধীর ও অপর্যাপ্ত উদ্ধার তৎপরতার অভিযোগ করে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।

সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ জ্বালিয়ে ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন পৌঁছাতে শুরু করেছে।

সময়ের সাথে সাথে ভূমিকম্পের প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানুষের বেঁচে যাওয়ার অনেক গল্পও প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে সদ্যজাত এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও তার নাভি বাঁধা ছিল মৃত মায়ের সাথে। এই শিশুর মা ভূমিকম্পে মারা গেছেন।

ওই শিশুর এক স্বজন খলিল আল-সুওয়াদি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা ধ্বংসস্তূপে খনন করার সময় একটি কণ্ঠ শুনতে পাই। আমরা ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার পর মৃত মায়ের সাথে নাভি বাঁধা অবস্থায় সদ্যজাত শিশুটিকে পাই। পরে নাভি কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়। আমার চাচাতো ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

বর্তমানে এই শিশুটিই তার পরিবারে একমাত্র জীবিত। তার পরিবারের বাকি সদস্যরা সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত জিন্দারিস শহরে ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। এটি এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পের ঘটনা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top