তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে: জাতিসংঘ

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তার বেশি হবে। ঘোষণা করা হয়েছে, বর্তমানে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৯ হাজার। তুরস্কে ২৪ হাজার ৬১৭ এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৭৪ জন মারা গেছেন। জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তিনি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাহরামানমারাসে পৌঁছান। এটি ছিল সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, আমি মনে করি, এটি সঠিকভাবে গণনা করা কঠিন। তবে আমি নিশ্চিত, এটি দ্বিগুণ বা তার বেশি হবে। আমরা আসলে মৃত গণনা শুরু করিনি।

তাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি ত্রাণ প্রয়োজন। শুধু সিরিয়াতেই গৃহহীন হয়েছে ৫৩ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জরুরী চিকিৎসা সহায়তার জন্য শনিবার ৪ কোটি ২৮ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে সংস্থাটি। 

দেশ দুটিতে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে অবর্ণনীয় অবস্থায় রয়েছেন। তবে দুর্ঘটনার একশ ঘণ্টা পার হওয়ার এখন কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। যদিও তুরস্ককে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন দেশ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। কখনো কখনো তাপমাত্রা নেমে আসছে হিমাঙ্কের নিচে।

তীব্র শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছেন গৃহহীন মানুষেরা। পাচ্ছেন না মাথা গোজার ঠাই।  আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, রোববার ভূমিকম্পের ১৪০ ঘণ্টা পরও ধংসস্তূপের নিচ থেকে সাত মাসের একটি শিশু জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজিআনতেপ শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৩ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।  জাতিসংঘ বলছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। ভূমিকম্পে সিরিয়ার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৫৩ লাখ মানুষ।