জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪১ হাজার
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:২৬
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। সমন্বিতভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে লাশের গন্ধ।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪১৮। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষকে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫ হাজার ৮০০। খবরটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়া সংলগ্ন তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছেই কম্পন ঘটে। এর গভীরতা ছিল ১৭.৯ কিলোমিটার। তবে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৪.১ কিলোমিটার। শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পের নয় দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মিলছে প্রাণের সন্ধান। শত বাধা আর কষ্ট উপেক্ষা করে উদ্ধারকারীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত কিংবা মৃত সবাইকে বের করে আনতে। তবে এখনও হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার ৫০ লাখ নাগরিকের আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যের জন্য ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাখা ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, শুধু তুরস্ক নয় বরং গোটা মানব ইতিহাসে এটি ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও বর্তমানে গোটা আন্তর্জাতিক মহল পাশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা দিতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন। এরআগে, ১৯৩৯ সালে তুরস্কে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।