করাচিতে পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৯
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:৪১
পাকিস্তানের করাচি পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা করে বন্দুকধারীরা। নিহত ৯ জনের মধ্যে জঙ্গি পাঁচজন। বাকি চারজন পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্য। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৮ জন। খবর জিও নিউজের। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিটে করাচির শারিয়া ফয়সাল এলাকায় হামলা চালানো হয়। এরপর প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে পাঁচতলা ভবনটি জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা পুলিশ ও রেঞ্জারস সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, বন্দুকধারীদের হামলা শুরুর পর সদর দপ্তরের আশপাশে অবস্থান নেন পুলিশের স্নাইপার সদস্যরা। পরে সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এমনকি গ্রেনেড বিস্ফোরণের একাধিক আওয়াজ শোনা গেছে। এই সড়কের দু’দিক থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তারা আরও বলেন, অন্তত সাতজন এই হামলার সাথে জড়িত ছিল। তবে তাদের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করলে তিনজন জঙ্গি আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেন। পরে আরও দুইজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। টিটিপির মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে হামলার দায় স্বীকার করেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে এ ধরনের হামলায় শুধু নিন্দাই যথেষ্ট নয়। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পেশোয়ার হামলার দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ জানান, হামলার সময় পুলিশপ্রধান করাচিতে ছিলেন না। পুলিশ সদর দপ্তরের আশপাশে বেশ কয়েকটি ভবন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকতেন।
নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে তালেবানের এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর দেশটিতে জঙ্গি হামলার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গত ৩১ জানুয়ারি পেশোয়ারের একটি মসজিদে নামাজ চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পুলিশকর্মী।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।