নির্জন কারাগারে নেওয়া হলো ২ হাজার বন্দিকে

রাজধানী স্যান সালভাদোর থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নির্জন অঞ্চল স্যান ভিসেন্তেতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে এ কারাগারটি তৈরি করা হয়। কারাগারটিতে সব মিলিয়ে আটটি ভবন রয়েছে। প্রত্যেক ভবনে সেল রয়েছে ৩২টি। একেকটি সেলে ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি রাখা যায়। তবে প্রত্যেকটি সেলে মাত্র দুটি সিংক এবং একটি টয়লেট রয়েছে। নতুন করে তৈরি করা একটি কারাগারে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার বন্দিকে। কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর বেলা হাত-পা বেঁধে এসব বন্দিদের স্থানান্তর করা হয়। প্রথম ধাপে দুই হাজার জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও অনেককে নিয়ে যাওয়া হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রমজানে মাছ-মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

গত বছর ‘স্টেট অব এক্সসেপশন’ নামের বিতর্কিত একটি আইন পাস করে এল সালভাদোর। ওই আইন অনুযায়ী, গ্যাং সদস্যদের আইনজীবির সুবিধা পাওয়া এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের অধিকার রহিত করা হয়। এছাড়া ওই আইনে কোনো ওয়ারেন্ট ও কারণ ছাড়া যে কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয় পুলিশকে। এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ তাদের মতে, অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিও পুলিশের হাতে আটক হয়ে অন্যায়ভাবে জেলে গিয়েছেন।

গ্যাং সদস্যদের উৎপাত বাড়ার পর এল সালভাদোরো তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া রহিত করা হয়েছে তাদের বিভিন্ন মানবাধিকারও।

বন্দিদের স্থানান্তরের ব্যাপারে এল সালভাদোরের প্রেসিডেন্ট নাইয়েব বুকেলে স্থানীয় সময় শুক্রবার এক টুইটে বলেছেন, ‘ভোর বেলা, একক অপারেশনে, আমরা বন্দিদের নতুন কারাগারে নিয়ে গেছি। এটি হবে তাদের নতুন বাড়ি, এখানে তারা কয়েক দশকের জন্য থাকবে, সবাই একসঙ্গে। তারা আর সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’

সূত্র: আল জাজিরা