পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট, হচ্ছে না অস্ত্রোপচার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৪৩
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক খাতগুলোতে অনিয়মের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। এ সংকটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য খাতে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। যে কারণে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আনতে পারছেন না উৎপাদনকারীরা। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ওষুধ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে চিকিৎসকরা সার্জারি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহের চেতনানাশক ওষুধ রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মতো স্পর্শকাতর রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের অনেক কর্মী চাকরিও হারাতে পারেন। যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি চাঙা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার
ওষুধ সঙ্কটের এই পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীরা আর্থিক সঙ্কটকে দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আমদানির জন্য নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ইস্যু করছে না। এছাড়া পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদন অনেক বেশি আমদানিনির্ভর এবং প্রায় ৯৫ শতাংশ ওষুধের জন্য ভারত ও চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহের প্রয়োজন হয়। ডলারের ঘাটতির কারণে করাচি বন্দরে বেশিরভাগ ওষুধ প্রস্তুতকারকদের জন্য আমদানি করা সামগ্রী আটকা রয়েছে।
ওষুধ উৎপাদন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ, পরিবহন খরচ এবং পাকিস্তানি রুপির তীব্র অবমূল্যায়নের কারণে ওষুধ তৈরির ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে।
বিষয়: পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট স্বাস্থ্য খাত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ newsflash71 Latest News Update News
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।