ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো হবে না

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৫৪

ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)। এরআগেই তিনি ব্যক্তিগত প্লেনে চড়ে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন, এরপর সেখানকার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেছে ম্যানহাটানের একটি গ্রান্ড জুরি। যদিও তার বিরুদ্ধে ঠিক কী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিভিন্ন মাধ্যমের খবর বলছে, সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলাতেই ফেঁসেছেন ট্রাম্প।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সোমবার তার ব্যক্তিগত প্লেনে নিউইয়র্কে যাবেন এবং মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়ায় সম্ভবত কয়েকশ সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে পারেন। তবে ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো হবে না। সাধারণত যেসব সন্দেহভাজন ব্যক্তির পালানো বা নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হয়, কেবল তাদেরই হাতকড়া পরানো হয়।

আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে এ শুনানি। এসময় ট্রাম্পকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হবে।

ট্রাম্পের আইনজীবী জো তাকোপিনা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে পারেন ট্রাম্প। কিন্তু কিছুই নিশ্চিত নয়। প্রসিকিউটররা এই ঘটনা থেকে সর্বোচ্চ প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর প্রেসিডেন্টকে হাতকড়া পরানো হবে না।

ট্রাম্পের শুনানি ও আত্মসমর্পণকে সামনে রেখে নিউইয়র্ক সিটির আদালতগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এফবিআই, এনওয়াইপিডি, সিক্রেট সার্ভিস ও নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ সেখানে একসঙ্গে কাজ করছে।

অনেকে ধারণা করছেন, ট্রাম্প আদালতে পৌঁছানোর আগেই পুরো এলাকা লকডাউন হয়ে যেতে পারে। ম্যানহাটনের একটি গ্র্যান্ড জুরি পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

অবৈধ সম্পদ ও যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তিনটি তদন্ত চলছে। এরমধ্যে নিউইয়র্কের তদন্তকারীরা গত বৃহস্পতিবার প্রথম তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান।

স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ, ২০০৬ সালের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক নিয়ে স্টর্মি যাতে মুখ না খোলেন, এ জন্য ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তাঁকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প নিজে তা দেননি, তাঁর সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন।

তবে এই ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি ট্রাম্প বরাবরই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা হয়েছে। স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলা ছাড়াও সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতিসংক্রান্ত অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top