আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নিউইয়র্কে ট্রাম্প

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৩, ২০:১০

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে পৌঁছেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে পৌঁছান তিনি। মঙ্গলবার ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালতে তিনি হাজিরা দেবেন। খবর এএফপির

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে ব্যক্তিগত একটি উড়োজাহাজে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন ট্রাম্প। বোয়িং ৭৫৭ মডেলের ওই উড়োজাহাজটিতে লেখা তার নামটি ছিল চোখে পড়ার মতো। আড়াই ঘণ্টা পর সেটি নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ট্রাম্পের এই যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকায় ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সদর দপ্তর ট্রাম্প টাওয়ারে সোমবার রাত কাটাবেন ট্রাম্প। তাঁর সমর্থকদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে আগে থেকেই শহরটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। আদালত ও ট্রাম্প টাওয়ার ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ নিয়ে সতর্ক করে এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক এডামস বলেছেন, ট্রাম্পের আদালতে হাজিরা দেওয়া নিয়ে কেউ যদি সহিংস বিক্ষোভ করেন, তিনি যেই হোন না কেন, তাঁকে দায়ী করা হবে এবং গ্রেপ্তার করা হবে। তবে শহরটিতে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এদিকে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডজনখানেক পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালের মালিক তিনি নিজেই। পোস্টগুলোর একটিতে ট্রাম্প লেখেন, ‘তারা আমাকে শিকার করতে আসছে না। তারা আপনাদের শিকার করতে আসছে। আমি শুধু তাদের পথে দাঁড়িয়ে আছি।’

সাবেক পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টরমি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। যদিও শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অ্যাটর্নি ব্র্যাগকে ‘কলঙ্ক’ বলে আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদেরই ক্ষতি করবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top