রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি সই করলো যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়া

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৪৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ছবি- সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সই করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইয়োল নজিরবিহীন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনো ধরণের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চাইলে তাতে সিওলের সঙ্গে যুক্ত হবে ওয়াশিংটন। দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যায়ক্রমে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করবে ওয়াশিংটন।

এর বিনিময়ে নিজেদের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামের এই চুক্তি উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় সিওল-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সহযোগিতা ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইউন সুক–ইউন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ঘোষণাকে এই সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্ধিত প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য এটিকে একটি ‘অভূতপূর্ব’ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে পারমাণবিক অস্ত্রসহ যেকোনো হামলা ঠেকাতে মিত্রদেশকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ছে। পিয়ংইয়ং এমন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে যা দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে, এর দূরপাল্লার অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম।

মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, নতুন চুক্তিটি বেশ কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার ফলাফল। পারমাণবিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ একটি পারমাণবিক পরামর্শক গ্রুপও তৈরি করবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top