ইরানে পুলিশ স্টেশনে হামলা, নিহত ৬
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:৪৭
ইরানে গ্রেনেড হামলায় পুলিশসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ জুলাই) দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে এক পুলিশ স্টেশনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ২ জন পুলিশ সদস্য ও ৪ জন হামলাকারী বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তবে এখনও হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
খবরে বলা হয়, চারজন অজ্ঞাত সশস্ত্র হামলাকারী জাহেদানের ১৬ নম্বর পুলিশ স্টেশনে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দরজা খুলে হামলা চালালে হামলাকারী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইরানপ্রেস জানিয়েছে, ভোরে জাহেদানের একটি থানায় একযোগে হামলা চালায় চার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তারা থানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে চার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর সবাই প্রাণ হারায়।
প্রাদেশিক নিরাপত্তা উপ-প্রধান আলিরেজা মারহামতি বলেছেন, হামলাকারীরা পুলিশ স্টেশনের প্রবেশদ্বারে শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় গুলিবিনিময় হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে। লড়াইয়ে দুই পুলিশ প্রাণ হারিয়েছেন।
সিস্তান-বেলুচিস্তান ইরানের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ। এটি বেলুচি সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল। যারা সুন্নি ইসলাম মেনে চলে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সংখ্যালঘু বেলুচ, যাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০ লাখ, তারা কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীদের হত্যার পর থেকে জাহেদানে প্রতি সপ্তাহে বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা গেছে। এমনকি দেশের অন্যান্য অংশে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরও সেখানে বিক্ষোভ অব্যাহত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ৬৬ জনকে হত্যা করেছে। এরপর জাহেদানের পুলিশ কমান্ডার ও একজন থানা প্রধানকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ ৩০ সেপ্টেম্বরের গুলির ঘটনার সূত্রের জন্য জইশ আল-আদল বা আর্মি অব জাস্টিসকে নামে জঙ্গি সংগঠনকে দায়ী করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি পাকিস্তানের আশ্রয়ে থেকে ওই জঙ্গি সংগঠন নিরাপদে বিক্ষোভকারীদের মদদ দিয়ে আসছিল। যদিও জইশ আল-আদল বা অন্য কোনো গোষ্ঠী এর দায়-দায়িত্ব তখন স্বীকার করেনি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।