গাজা যেন ভয়ানক মৃত্যুপুরী, অন্ধকার আতঙ্কে লাখ লাখ মানুষ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

গাজা যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। হামাসের হামলার জবাব দিতে অবরুদ্ধ গাজায় ইতিহাসের সবচাইতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। লাশের পর লাশে আর জায়গায় কুলোচ্ছে না। কান্নায়, আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। মুহুর্মুহু হামলায় রক্তাক্ত পুরো গাজা।

হামাস ও ইসরায়েল সংঘাতের আটদিন আজ। চলমান সংঘর্ষে বিশ্বের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন আট হাজার ৭১৪ জন। শুধু পশ্চিম তীরেই নিহত হয়েছেন ৫৪ জন, আহত হয়েছেন এক হাজার ১০০। অন্যদিকে ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। 

শনিবারের আপডেটে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ৭২৪ শিশু এবং ৪৫৮ নারীসহ ২ হাজার ২১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গাজায় আরও ৮ হাজার ৭১৪ জন নাগরিক আহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন মাত্রায় আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ শিশু এবং ১ হাজার ৫৩৬ জন নারী রয়েছেন।ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় গাজার হাসপাতালগুলো আহত লোকে ভরে গেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার ঘোষণা করেছে, গাজা উপত্যকায় ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক সংঘাতে নিহত হয়েছে। আরও হাজার হাজার আহত লোক দিয়ে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ভরে গেছে।খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসার অভাবে গাজার মানবিক সংকট চরমে। বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ। 

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সপ্তাহব্যাপী বোমা হামলায় গাজা উপত্যকায় এক হাজার ৩০০-এর বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোয় ‘পাঁচ হাজার ৫৪০টি বসতবাড়ি’ ছিল, যার মধ্যে তিন হাজার ৭৫০টি বাসা এমনভাবে ধ্বংস হয়েছে যে সেগুলো আর বসবাসযোগ্য নয়। 

শনিবার ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস আকস্মিক রকেট নিক্ষেপের পরপরই গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল। ওইদিন থেকেই তারা গাজায় খাদ্য, জ্বালানিসহ সবকিছু সরবরাহ বন্ধ করে। তাদের এ অবরোধের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন সাধারণ গাজাবাসী। জ্বালানির অভাবে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। এছাড়া তারা খাদ্য সংকটের শঙ্কায়ও রয়েছেন।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top