সাংবাদিকতা কী? দেখিয়ে দিলেন এই সাংবাদিক
১২ স্বজন হারানোর পরদিনই কাজে ফিরলেন সেই সাংবাদিক
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৩৮
অবরুদ্ধ গাজায় টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। সংঘাতের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় পরিবারের ১২ জন সদস্যকে হারিয়েছেন আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদু। তবে তাদের সমাহিত করার একদিন পরেই কাজে ফিরেন ওয়ায়েল। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বুধবার দক্ষিণ গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় ওয়ায়েলের স্ত্রী আমনা (৪৪), ছেলে মাহমুদ (১৬), মেয়ে শাম (৭) ও অপ্রাপ্তবয়স্ক নাতি অ্যাডামসহ আরও আটজন সদস্য প্রাণ হারায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশ মেনে তারা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আল জাজিরার ডিজিটাল চ্যানেল এজে প্লাসে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওয়ায়েল জানান, পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য মারা গেলেও দ্রুত কাজে ফেরা তার দায়িত্ব ছিল। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে সংবাদ প্রচার অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার জানান তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সেদিকে আঙুল দেখিয়ে ওয়ায়েল বলেন, এটা হচ্ছে বিমান হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণের পরবর্তী দৃশ্য এবং হামলা থামছে না। ভিডিওতে ওয়ায়েল জানান, তিনি অনেকের কাছ থেকে শোকবার্তা ও সান্ত্বনার বাণী পেয়েছেন, যার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
কাজে ফেরার পরপরই তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক ওয়ায়েল বলেছেন, হামলা চালিয়ে আমাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকতা আমার মহৎ মিশন। ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করছে। ফিলিস্তিনি পরিবারের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। প্রতিদিনই এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গাজাবাসী।
বেশ কয়েক বছর ধরে গাজা ও অন্যান্য অধিকৃত অঞ্চলে সাংবাদিকতা করছেন ওয়ায়েল। যে হামলায় তার পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি সেটারই লাইভ কভারেজ দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।