ধসের ৯ দিন পর টানেলে আটকা পড়াদের ভিডিও
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২২
নয় দিন হয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। বিশেষ পাইপের ভেতর দিয়ে তাদের দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানি। পাঁচটি প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীদল নিয়ে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ৪১ জন শ্রমিকই ভেতরে বেঁচে আছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।
ধসের ৯ দিন পর প্রকাশ করা হলো ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রকাশিত ভিডিওতে যাতে দেখা যায়, শ্রমিকদের অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ধসে পড়া টানেলের এক পাশে ছিদ্র করা হয়েছে। সেখানে এসে উদ্ধারকারীদের সাথে যোগাযোগ করছেন শ্রমিকরা। আটকে পড়া শ্রমিকরা সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক আছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তাদের উদ্ধারে আনা হয়েছে নতুন যন্ত্র। টানেলের পাশে তৈরি করা হচ্ছে আরও দু’টি সুড়ঙ্গ।
শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছানো গেলে সুড়ঙ্গ থেকে টানেলে পাঠানে হবে একটি পাইপ। সেই পাইপে করে একে একে বের করে আনা হবে শ্রমিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে খুব দ্রুতই শেষ হবে উদ্ধার কাজ।
গত রোববার (১২ নভেম্বর) ভোরে উত্তরাখণ্ডের একটি সংযোগকারী টানেলের ৫০ মিটারের মতো অংশ আকস্মিক ধসে পড়ে। ভেতরে আটকা পড়েন ৪০ নির্মাণ শ্রমিক। এরপর কেটে গেছে ৭ দিনেরও বেশি সময়।
সারা বছর দর্শনার্থীরা যাতে চারধাম যেতে পারেন তাই ‘অল ওয়েদার’ অর্থাৎ সব আবহাওয়ার জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। এতে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমবে।
উত্তরাখণ্ডে হিন্দুদের চারটি তীর্থস্থানকে জুড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চারধাম মহাসড়কটি নির্মিত হচ্ছে। ৮৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জুলাই মাসে সেটির নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। পরে তা পিছিয়ে ২০২৪ সালের মে মাস করা হয়েছে। ২০২৪ সালেই ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। মোদী সরকার চাইছে নির্বাচনের আগেই মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে।
এদিকে, ভূতত্ত্ববিদ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মকর্তারা মনে করছেন, পাহাড়ের ভেতর দিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই টানেল ধসের এই ঘটনা ঘটেছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।