শুক্রবার বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস
ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৬
আগামী শুক্রবার ২৪ নভেম্বর এর আগে কোনও ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জাকি হানেগবি এই তথ্য জানান। যদিও হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি আজ বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে হতে জানা যায়, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর গেলো সপ্তাহে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে ইসরাইলের কাছে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কাতারে অবস্থানরত হামাসের হাইকমান্ড।
গেলো বুধবার ২২ নভেম্বর এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইল সরকারও। এসব বিবৃতি থেকে যুদ্ধবিরতির কিছু শর্তের কথা জানা গেছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির প্রধান শর্ত- গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরাইল। এছাড়াও হামাসের হাতে বন্দি ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনির মুক্তিও এই চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত; যা আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
এদিনই হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বহুলপ্রত্যাশিত সাময়িক যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।’
তবে, বৃহস্পতিবার ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জাকি হানেগবি বলেন, ‘শুক্রবারের আগে কোনো ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে না হামাস।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘হামাসের কাছে বন্দি আমাদের নাগরিকদের মুক্তির আলোচনা এগিয়ে চলছে।’
গাজায় আজ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইলি এই কর্মকর্তার বক্তব্যের পর বিরতি ঠিক কবে থেকে শুরু হবে তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত বোমা হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরাইলে ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এছাড়াও দেশটির ২৪০ বাসিন্দাকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। অন্যদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অনবরত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়াও চলমান এ সংঘাতে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।