বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ৬ সংস্থার বিবৃতি, যা বললো জাতিসংঘ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বাংলাদেশের ভোটাধিকার ইস্যুতে আমরা অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ তরফ থেকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে।

শীর্ষস্থানীয় ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক জানান, বাংলাদেশের এসব ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ অবগত আছে। তিনি বলেন, 'আমরা এই ইস্যুতে জড়িত রয়েছি।'

মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি বাংলাদেশি যেন ভয়ভীতি ছাড়াই বা কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার উদ্বেগ জানিয়েছে ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন।

সংগঠনগুলো হলো- রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস (আরএফকেএইচআর), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড এগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপেয়ান্সেস (এএফএডি), এন্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেস (আইসিএইডি)।

বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছে। তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো-

১. প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, নিজের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত সততাকে যাতে সম্মান করা হয়, সুরক্ষিত রাখা হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেয়ালখুশিমতো আটক অধিকারকর্মী এবং বিরোধীদলীয় সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া।

৩. ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ণাঙ্গ এবং পক্ষপাতহীন তদন্ত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে মৃত্যু এবং নির্যাতনের অভিযোগগুলোও।

৪. আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়াকে পুনর্মূল্যায়ন এবং রিভাইস করতে হবে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top