বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়, দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ মে ২০২৪, ১৬:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করছে ও বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্যাম্পাসে নির্মিত তাঁবু সরানোর বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমন অবস্থায় তাদের বহিষ্কার করা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও তাদের নিবৃত্ত করা যায়নি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে।

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, যারা একটি হল দখল করেছিল তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ‘ব্যাপক অভিযান’ চালানো হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, গত রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে অভিযান চালানোর পর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য বহিরাগতরা দায়ী, যারা ‘তরুণদের উগ্রবাদী’ বানানোর চেষ্টা করেছিল।

স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে প্রায় ৯০ হাজার মার্কিন ডলার চার্জ করা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। নিউ ইয়র্কের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন গাজায় যুদ্ধ ও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে দেশটিতে চলমান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top