স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪, ১৭:০৬

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে ইসরায়েল। আর ইহুদিবাদী ইসরায়েলিরা যে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কতটা ব্যাকুল সেটি নানা সময়ই তাদের বিভিন্ন মন্তব্যে উঠে এসেছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরব মার্কিন প্রশাসনকে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে যে, ১৯৬৭ সালে সীমান্তে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না।

২০২০ সালে সৌদি আরবের উপসাগরীয় প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সম্মতি দেওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি 'আগ্রাসন' বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ এলাকা থেকে সব ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান ব্রাসেলসে আরব ও ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের পর জানিয়েছেন- ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না। 

তিনি বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে তারা যে নিরাপত্তা চায় সেটি ইসরায়েল স্বীকার করে না এবং এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।

সৌদি আরবের শীর্ষ এই কূটনীতিক সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না এবং এটা সম্পূর্ণরূপে মেনে নেওয়া প্রয়োজন ইসরায়েলের।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান আরও বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিরাপত্তা পাবে ইসরায়েল। তাই আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, ইসরায়েলের নেতারা বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে কাজ করাটা তাদের স্বার্থেই ভাল। আর সেটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করাই নয় বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।”

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top