মোদির কাছ থেকে কী চাচ্ছেন চন্দ্রবাবু-নীতীশ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪, ২০:০৪
এনডিএর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই শরিক - নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নায়ডু। অন্ধ্রপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তাদেরকে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে 'কিং মেকার' বলা হচ্ছে।
কারণ, দশ বছর পর প্রকৃত অর্থে যে এনডিএ সরকার গঠিত হচ্ছে, সেখানে এই দুই নেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তাদের কাছে আছে মোট ২৮ জন সাংসদ। ফলে এনডিএ তাদের উপর নির্ভরশীল থাকবে। কিন্তু তাদের সমর্থন শর্তহীন নয়। তাদের দাবির তালিকাটা দীর্ঘ। তারা প্রথম থেকেই সেই দাবিপূরণ করার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন।
তবে চতুর্দশ অর্থ কমিশন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বন্ধ করার প্রস্তাব দেয়। তারা বলে তার জায়গায় ওইসব রাজ্যের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ দশ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হোক। নীতীশ ২০০৬ থেকে ও চন্দ্রবাবু অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের পর থেকে এই বিশেষ মর্যাদা দাবি করে আসছেন। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেলে য়ে সুবিধাটা হয়, সেটা হলো, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৯০ ভাগ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। এছাড়া আর্থিক ও পরিকাঠামোগত নানান সুবিধা রাজ্য পায়।
বিহারে ৫২ শতাংশ মানুষ গরিব। দেশের সবচেয়ে গরিব রাজ্যগুলির মধ্যে বিহার একটি। তাই নীতীশ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চান। আর অন্ধ্র ভাগ হওয়ার পর শিল্পপ্রধান এলাকা চলে গেছে তেলেঙ্গানায়। অন্ধ্রের উপর আর্থিক দায় প্রচুর বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব কমেছে। তাই তারাও বিশেয মর্যাদা চায়। দুই রাজ্যকে এই মর্যাদা দিতে গেলে বছরে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার বাড়তি দায় এসে পড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে।
কিন্তু এবার চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমার দুজনেই প্রথম থেকেই বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।চন্দ্রবাবু পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দাবি করেছেন। তার মধ্যে আছে গ্রামোন্নয়ন, জলসম্পদ, স্বাস্থ্য, সড়ক পরিবহন, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ। অন্যদিকে নীতীশের চাহিদার মধ্যে আছে রেল, গ্রামোন্নয়ন, কৃষি মন্ত্রণালয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।