মিয়ানমারের মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪, ১৩:৪৯
মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার একটি দোকানে বসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দোকান।
বিস্ফোরণের শব্দে কিছুটা ছেদ পড়লেও বাসিন্দারা আলাপ চালিয়ে নিচ্ছিলেন। তিন মিনিটের মাথায় আবারও বিস্ফোরণ ঘটে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে আলাপরতদের একজন বলে ওঠেন, মিয়ানমারের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে শান্তিতে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ঘরের মাটির দেয়াল ও সীমানাপ্রাচীরে ফাটল ধরেছে। রাতেও শান্তি নেই, দিনের চেয়ে বিস্ফোরণ রাতে আরও বেশি।
বুধবার রাত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মর্টারশেল বিস্ফোরণের তাণ্ডব চলছে। নাফ নদীর ওপারে টেকনাফ সীমান্তের পূর্বে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে ভেসে আসছে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ। যার কারণে সীমান্ত পাড়ের বাসিন্দারা কুরবানির ঈদের আগে নতুন করে আতঙ্কিত হয়েছেন।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে কোনো রোহিঙ্গা নাগরিক যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে খারাংখালী, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনা ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বড় বড় শব্দ। সীমান্তের লোকজন বলছে, দীর্ঘদিন বন্ধের পরে কুরবানি ঈদের আগে এই প্রথম কোনো বড় ধরনের মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপছে টেকনাফ।
শাহপরীর দ্বীপ বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গণি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ১০-১৫ মিনিট পরপর মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে রাত জেগেছিলাম। এতদিন বন্ধ থাকলেও আজকে রাতে নতুন করে বেশি বিস্ফোরণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ভোর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মর্টারশেল বিস্ফোরণের ভারিআওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে এলাকার সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ায় জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।