প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ১১টায়(২৬জুলাই)শুরু হবে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এবারই প্রথম কোনো অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে না। সেন নদীতে ওপেন এয়ার প্যারেডে ১৬০ নৌকায় শুরু হবে জমকালো আয়োজন। এই নৌকাগুলোর মধ্যে ৯৪টিতে থাকবেন অ্যাথলেটরা। বিশ্বের ২০৬ দেশ থেকে অংশ নেয়ার অপেক্ষায় সাড়ে ১০ হাজার প্রতিযোগী।

আয়োজক কমিটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবারের মতো অনুষ্ঠান আগে কখনো দেখা যায়নি। ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, নদীর তীর, পানি ও আকাশের সদ্বব্যবহার করে সাহসী ও আনন্দায়ক এক অনুষ্ঠান পুরো বিশ্বকে উপহার দেবে তারা।

গত আসরে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে কোনো দর্শক ছাড়াই। তবে মহামারীকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বের মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপন করছেন। তাই প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে সেন নদীর তীরে  হাজির হবেন ৩ লাখেরও বেশি দর্শক। থাকবেন ৮০টি রাষ্ট্রের প্রধান। দর্শক জন্য রাখা হয়েছে ৮০টিরও বেশি বড় পর্দা।

৬৯ দিনে প্রায় ১০ হাজার বাহকের হাত ঘুরে আজ প্যারিসে পৌঁছাবে অলিম্পিক মশাল। ল্যুভর মিউজিয়ামের সামনের বাগানে এটি প্রজ্বলিত করার কথা আছে। কিন্তু সর্বশেষ বহনকারীর নাম গোপন রাখা হয়েছে। এএফপির ধারণা, অলিম্পিকের তিন সোনাজয়ী মারি–হোসে পেরেসের হাতে উঠতে পারে মশাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোন শিল্পীরা থাকছেন, সেটা অবশ্য এখন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। তবে গুঞ্জন আছে, মঞ্চ মাতাতে পারেন পপ গায়িকা লেডি গাগা ও সেলিন ডিওন। এছাড়া সেন নদীর তীরঘেঁষা বিল্ডিংগুলোর ছাদে নাচতে দেখা যাবে নৃত্যশিল্পীদের। 

অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবেন ৪৫ হাজার পুলিশ। এছাড়া ২২হাজার প্রাইভেট সিকিউরিটি স্টাফ গার্ডও থাকবেন। সেন নদীর তীরে প্রবেশ করতে দর্শক কিংবা স্থানীয়দের দেখাতে হবে কিউআর কোড। প্রতিটি উঁচু ইমারতে নিয়োজিত থাকবে স্নাইপার। অনুষ্ঠান চলার সময় প্যারিসের আকাশ দিয়ে কোনো বিমানই উড়তে পারবে না।