শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, খুলল ৪৪ জলকপাট

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪

ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উজানের ঢল এবং টানা দুদিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ১৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এ ফলে এ এলাকার মানুষজন আবারও বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা যায়।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০টি চর ও পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার ১০ থেকে ১৫টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ প্রসঙ্গে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকার রাস্তাঘাটে পানি উঠায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট ইতোমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে।’ টানা দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণেই তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

বানভাসি মানুষদের দাবি, এই অন্তর্র্বতী সরকার যেন তিস্তা চরাঞ্চলবাসীর জন্য তিস্তায় চিরস্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করেন। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আসায় অল্প পানিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই সমস্যা সমাধানে তিস্তা নদী খনন বা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুবই দরকার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top