প্রতিরোধ যোদ্ধারা নয়, ইসরায়েলই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: খামেনি

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, সিরিয়ায় সরকার পতনের ফলে তেহরানের নেতৃত্বাধীর ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে যারা মনে করছেন, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ইহুদি শাসকরা মনে করছে, তারা সিরিয়ার মাধ্যমে হিজবুল্লাহকে কোণঠাসা করে ফেলবে ও নিশ্চিহ্ন করবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। হিজবুল্লাহ নয়, ইসরায়েলই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তেহরানে নারীদের এক সমাবেশে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) খামেনি এমন মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরার।

সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় সরকার পতনের ফলে তেহরানের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ নিশ্চহ্ন হয়ে গেছে বলে যারা মনে করছেন, তারা ভুল করছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ ও হামাস নেতাদের স্মরণ করেন খামেনি বলেন, সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর আত্মা জীবিত, সিনওয়ারের আত্মা জীবিত। শহীদেরা কখনো মরে না।

খামেনিও জোর দিয়ে বলেছেন যে, আল-আসাদের উৎখাত ইরানকে দুর্বল করবে না। ইহুদিবাদীদের ধারণা, তারা সিরিয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ বাহিনীকে ঘিরে ফেলতে পারবে। এভাবে করে তাদের নির্মূল করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাসবতা হলো ইসরায়েলই নির্মূল হবে।

উল্লেখ্য, বাবা হাফিজ আল বাশারের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।

কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র ৩টি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top