বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১

এবার নরওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বিমান

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৩

নরওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বিমান

বিশ্বব্যাপী একের পর এক ঘটছে বিমান দুর্ঘটনা। আজারবাইজান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডার পর এবার নরওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যাত্রীবাহী প্লেন। তবে এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নরওয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে যাত্রা করে রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। তবে উড্ডয়নের পরপরই কোনো কারণে এটি আবারও নরওয়ের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি।

প্রতিবেদন মতে, বিমানটিতে ১৮২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার পরও তারা সবাই অক্ষত আছেন। অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার ঘটনায় বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইট নম্বর কেএল১২০৪ বিমানটি অসলো টর্প সানডেফজর্ড বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ে ১৮-এর ডান দিকে ছিটকে পড়ে। বিমানটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই আবারও সেখানে ঘুরে আসে।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এপিসেভেনএম বলেছে, পাইলটরা জরুরি অবতরণের জন্য অসলো থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে স্যান্ডেফজর্ড টর্প বিমানবন্দরে বিমানটিকে ডাইভার্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে, তবে কিছুক্ষণ পরই এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং রানওয়ে সংলগ্ন একটি ঘাসযুক্ত এলাকায় থেমে যায়।

ঘটনার কারণ হিসাবে একটি হাইড্রোলিক সিস্টেমের ব্যর্থতা উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বলা হয়েছে, বিমানে থাকা ১৭৬ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু সদস্যের সবাই অক্ষত আছেন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে অবতরণের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি সবাই নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়াও কানাডার হালিফাস্ক বিমানবন্দরে একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় এয়ার কানাডার বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। ঘটনার পরই ওই বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এখন পর্যন্ত কানাডার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর মেলেনি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top