ট্রাম্প আসার আগেই গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে চান বাইডেন
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘সম্ভব’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পয়েন্টম্যান ব্রেট ম্যাকগার্কের কথা উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি এটা সম্ভব, কিন্তু আমাদের সামনে যে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে সেটা ছাড়া এটা হবে না।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি তার এবং পুরো জাতীয় নিরাপত্তা দলের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে। এটি এমন কিছু যা আমরা খুব, খুব বেশি করে চাই সম্পন্ন করতে, এটি আমরা শুধুমাত্র যে অফিস ছাড়ার আগে সম্পন্ন করতে চাই তা-ই নয়, এটি করা প্রয়োজন। কারণ এই মানুষগুলো এখন অনেক দিন ধরে বন্দি হয়ে আছে এবং (তাদের জন্য) প্রতিটি দিনই অনিশ্চয়তার দিন, শোকের দিন।
জন কিরবি বলেন, তাই শুধুমাত্র এটির উপর ভিত্তি করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করতে চান প্রেসিডেন্টও এবং আমরা বিশ্বাস করি এটি সম্ভব, কিন্তু আবারো অতিরিক্ত ছাড় দেওয়ার মানসিকতা এবং কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এটি সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।