কোরআনের আয়াত শেখানোয় মা-সন্তানের কারাদণ্ড
রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৭
চীনে ৪৯ বছর বয়সী এক উইঘুর নারীকে কোরআন থেকে আয়াত শেখানোর জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী ও দুই সন্তানকে কোরআন থেকে আয়াত শেখানোয় তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সরকার।
দেশটির কর্মকর্তারা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেইলিহান রোজি নামের ওই নারীকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের কারাগারে থাকতে হবে।
রোজির ওই মামলার তদারকি করা সেয়বাগ গ্রামের একজন পুলিশ বলেন, অবৈধ আন্ডারগ্রাউন্ড ধর্মীয় কার্যকলাপের কারণে রোজির কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি কোরআন থেকে ১০টি আয়াত শেখাচ্ছিলেন। তবে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজি ছাড়াও তার দুই সন্তান ও এক প্রতিবেশীর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার এক সন্তানের ১০ বছর এবং আরেক সন্তানের ৯ বছরের জেল হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেশীর জেল হয়েছে ৯ বছর। অবৈধ ধর্মীয় শিক্ষায় অংশ নেওয়ায় তাদের কারাদণ্ড হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে ধর্মীয় বিশ্বাস ও তা পালনের কারণে উইঘুর মুসলিমের বিরুদ্ধে শাস্তির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিনজিয়ান প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের প্রতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে চীন।
এর আগে ২০২১ সালে এক গবেষণায় বলা হয়, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চীনের সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে তাতে শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নাম উইঘুর। এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতনের দৃশ্য প্রকাশ পায় না গণমাধ্যমেও। যদিও এক সময় ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ নামে স্বাধীন একটি দেশ ছিল তাদের। বর্তমানে যা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।