ট্রাম্পের গণছাঁটাই রুখে দিলো মার্কিন আদালত
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:১০

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফেরার পর বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্যে অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন ধবকুবের ইলন মাস্ক। তবে ট্রাম্পের এই গণছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা আপাতত রুখে দিলো আমেরিকার আদালত। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দফতরকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বলেছেন সান ফ্রান্সিসকোর এক ফেডারেল বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, এভাবে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের অধিকার নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের। এভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করা যায় না। খবর এএফপির।
শুনানির সময় বিচারক উইলিয়াম আলসাপ বলেছেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন শিক্ষানবিশ কর্মীদের চিহ্নিত করে ছাঁটাইয়ের জন্য গত ২০ জানুয়ারি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মেইলের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছে ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম)। তবে ফেডারেল সংস্থার কোনও কর্মীকে, বিশেষত একবছরের কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষানবিশ কর্মীদের, ছাঁটাইয়ের আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই তাদের। তাই ওই মেইল তৎক্ষণাৎ বাতিল করার আদেশ দেন তিনি।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ৫টি শ্রমিক সংগঠন এবং কয়েকটি অ-লাভজনক সংস্থা মামলা দায়ের করেছিল। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক উইলিয়াম আলসুপ এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এই গণহারে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বেআইনি। কারণ, আমেরিকার অফিস অফ পার্সোনাল ম্যানেজমেন্টের অধিকার নেই কোনও ফেডারেল এজেন্সিকে কর্মী ছাঁটাইয়ের আদেশ দেওয়ার।
এ দিন ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবী বলেন, পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট অফিস কাউকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে বোঝা যায় ওই কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে উপযুক্ত কি না।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি নয়া দপ্তর খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। সরকারি খরচ কমানোর জন্য সেই দপ্তর বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করার নিদান দিয়েছিল। এরপর আমেরিকার প্রায় ২ লক্ষ সরকারি কর্মীর উপর কোপ নেমে এসেছিল। তাঁদের বলা হয়েছিল পরবর্তী আট মাসের বেতন নিয়ে কাজ ছেড়ে দিতে। না হলে পরবর্তী ছাঁটাইয়ে কোপ পড়ার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল।
এরপরেই একাধিক শ্রমিক সংগঠন এবং বিভিন্ন অলাভমূলক সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। ডেমোক্র্যাটরাও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল। এ বার আদালতেও ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।