যুদ্ধ করেও মেলেনি তার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম
মাদারীপুর থেকে | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২১, ২১:২৯
আবদুল রশিদ খান ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আগরতলা হাঁপানিয়া লেবুতলা জিমনেশিয়ামে ডামি রাইফেল নিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
মাদারীপুর শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল রশিদ খান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর মে মাসে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের আগরতলায় গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি সহ সেই দলে অনেক সদস্য ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে শিবচরে এসে একটিতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। তারপরে যুদ্ধ শেষে ঢাকায় অস্ত্র জমা দিয়ে দেন। যখন এদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী দেওয়া হবে। তখন অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কার্ড করেছেন আর তালিকায় নাম দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'যখন আমি এই বিষয়ে জানতে পেরেছি মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। তখন আমি হওয়ার জন্য যারা যারা আমার সাথে যুদ্ধ করেছিলো আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি তখন তারা আমাকে আবেদন করতে বলে। তখন সাত জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাক্ষী রেখে আবেদন করি।
কর্তৃপক্ষ আমার কাছে জানতে চাইলো ভারতের কোন কাগজপত্র আছে কি না। আমি বললাম না, কিন্তু বললাম যারা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তারাই তো আমার জন্য সুপারিশ করেছে। তারপরে আমি কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি আর কোথায় যুদ্ধে যোগদান করেছি তা বলার পরে বলেছে ঠিক আছে। কেন সব কিছু ঠিক থাকার পরে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ হতে পারি নাই। এটা আমার জননেত্রী শেখ হাসিনা মা জননীর কাছে আমার প্রশ্ন।'
তিনি আরো বলেন, 'এদেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি আর এ যদি হয় সত্যিকারের দেশ প্রেমিকের এই অবস্থা। তাহলে যুদ্ধ করে কি পেলাম। অবশেষে আমি ঢাকায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)এ আপিল দায়ের করি যার নং ৩৮১। ঢাকা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধিবেশনে আবেদন করার পরেও কোন সুরাহা মেলেনি।'
আক্ষেপ করে রশিদ খান বলছিলেন, 'তাদের গ্রামে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের কমবেশি সবাইকে তারা চেনেন। অথচ তাদের গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অনেক অ-মুক্তিযোদ্ধা।'
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: মাদারীপুর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।