মেহেরপুরের অধিকাংশ বধ্যভূমি এখনো অরক্ষিত
মেহেরপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৩১
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সংরক্ষণ বা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি মেহেরপুর জেলার অধিকাংশ বধ্যভূমি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কিছু বধ্যভূমি পরিচর্যা করা হলেও অধিকাংশ বধ্যভূমি চেনার উপায় নেই। এতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের টর্চার সেল সর্ম্পকে জানতে পারছে না।
বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করে সেগুলো নাম ফলকের মাধ্যমে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মাস্টার পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীন করেছেন দেশ। ছাত্র ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রান হারান তার অনেক সহযোদ্ধা। এই কলেজের পিছনেই একটি বধ্যভূমিতে দাফন করা হয় তাদের। কিন্তু এখন সেই বধ্যভূমিটি চেনার উপায় নেই। এখনো মেহেরপুরের অনেক স্থানে এমন অনেক বধ্যভূমি আছে যেগুলো চিহ্নিত করে নামফলক করে দেওয়া হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫টি বধ্যভূমি রয়েছে, যার মধ্যে হাতে গোনা ৩ থেকে ৪টি শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো রয়েছে অযত্ন ও অবহেলায়।
মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু কুমার পাল জানান, এরই মধ্যে গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কের পাশে ও সাহারবাটি টেবুখালির বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া একই উপজেলার কাজীপুর সীমান্তে ৬ গণকবর, বামন্দী গণকবর, সদর উপজেলার মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে এলাকায় কবরস্থানের পশ্চিম পাশের গণকবর ও মুজিবনগর উপজেলার মাঝপাড়াতে অবস্থিত গণকবরটিকে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এনএফ৭১/এমএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।