এতিম বলায় বন্ধুকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৫:৩২
বন্ধুকে এতিম বলায় জীবন দিতে হয়েছে স্কুলছাত্র রাহাতকে (১৪)। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে হত্যার ঘটনায় বিপ্লব র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়।
আটককৃত বিপ্লব টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে। নিহত রাহাত একই গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২ এর কোম্পনী কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুইজনে বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। খেলার সময় বিপ্লবকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে ঠাট্টা করে। এ কারণে রাহাতের উপর বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয় এবং রাহাতকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিপ্লব বাজার থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর বিপ্লব ধূমপানের কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়ার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় আঘাত করে। এ সময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব তার মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার ব্লেডের পোচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদার মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। রাহাতের মৃত্যু হওয়ার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে তার (রাহাতের) মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে বিপ্লব গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে।
কোম্পনী কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৫ মার্চ) কালিহাতী থেকে বিপ্লবকে আটক করার পর র্যাবের কাছে সে হত্যা করার কথা স্বীকার করে এবং হত্যার বর্ণনা দেয়। পরে বিপ্লবের ঘর থেকে তার জামাকাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে রাহাতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।