আবাসন সংকটে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ফকিরহাট থেকে | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২, ০৩:১৯

আবাসন সংকটে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন আবাসন সংকট রয়েছে। ২২ জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র একটি দ্বিতল ভবনে ৪ জন চিকিৎসকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বদলীজনিত ছাড়পত্র নিয়ে একজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন সরকারি আবাস না ছাড়ায় এ সংকট আরও ঘণীভূত হয়েছে।

ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ২২ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এরমধ্যে মেডিকেল অফিসার ১৭জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ৪জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রয়েছে ১জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবন ২০০৫ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রতিবছর চিকিৎসকদের জন্য বাসভবন নির্মাণের চাহিদাপত্র দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০৬ সাথে হাসপাতালে চার জন চিকিৎসক থাকার জন্য একটি ভবন তৈরি করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছরেও নতুন কোন ভবন নির্মাণ না করার ফলে এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বাইরে ঘরভাড়া করে থাকতে হয়। ফলে নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির পর গভীর রাতে বাসায় ফিরতে হয় ঝুঁকি নিয়ে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক নারী চিকিৎসক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, ডা. মৌসুমি ইয়াসমীন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজে ২০২১ সালের ১ জুলাই ‘ডি ল্যাবরেটরী মেডিসিন’ বিষয়ে ২ বছরের ডিপ্লমা কোর্সে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই কোর্সে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ৬ জানুয়ারি ছাড়পত্র গ্রহণ করে। কিন্তু অদ্যবধি তিনি হাসপাতালের সরকারি বাসভবন না ছাড়ার ফলে এখানকার কর্তব্যরত ডাক্তারদের বাসা ভাড়া করে বাইরে থাকতে হচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক।

এ বিষয়ে ডা. মৌসুমি ইয়াসমীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার একটি সন্তান অটিজমের আক্রান্ত এবং শাশুড়ি দুর্ঘটায় পা ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ কারণে তিনি বাসা ছাড়তে পারেন নি। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। অল্পকিছু দিনের মধ্যে তিনি বাসা ছেড়ে দেবেন বলে জানান।

নতুন বদলী হয়ে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ্ মোঃ মহিবুল্লাহ্ বলেন, ‘সিভিল সার্জন মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ ডা. মৌসূমী ইয়াসমীনকে ৩১ মার্চের পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে সরকারি কোয়াটার ছাড়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাসায় অবস্থানের যৌক্তিক কোন কারণ না দেখাতে পারলে তার বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top