রিক্সা চালক মিঠুন হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন

পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২, ১১:০২

রিক্সা চালক মিঠুন হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন

পাবনার ঈশ্বরদীতে সংঘঠিত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক মিঠুন হত্যা মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একই সাথে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জবা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী উপজেলার শৈলপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রিক্সাচালক মিঠুন কাজের উদ্দেশে তার অটোরিকশা নিয়ে বেড় হয়। এর পর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

এর আটদিন পর ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের পাশে জঙ্গল থেকে মিঠুনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে মিঠুনের পরিবার তার পোষাক দেখে মরদেহটি মিঠুনের সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত মিঠুনের পিতা আঃ মজিত প্রামানিক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়েরের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাগর দম্পত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। সাগর ও জবা কে আটক করলে তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালত ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও র্দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামি জবা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেন। মামলার অপর অভিযুক্ত জবার স্বামী সাগর মামলা চলাকালীন জেল হাজতে মৃত্যু হয়।

কি কারনে রিক্সা চালক মিঠুনকে হত্যা করা হয়েছে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার ততকালীন (এস আই) বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, সাগর দম্পতি অথাৎ সাগর ও জবার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদীর বিদিক মোড় এলাকায়। সাগর ও জবার দম্পত্তির একটি তিন বছরের শিশু সন্তান ছিল। তাদের সংসারে ছিল অভাব অনাটন। মূলত মিঠুনের অটোরিক্সা ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করা হয়। মামলার বাদীর মেয়ে জামাই জানান তারা এই রায়ে খুশি।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top