হিলি সীমান্তে মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক: আতঙ্কে উপজেলাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৬
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে সম্প্রতি পরপর ৩দিনে ৬টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে নানা মুখি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। চুরির ঘটনা গুলিতে কোন উদ্ধার বা চোরদের আটক করতে না পারায় এই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জানাজার নামাজ, মসজিদে নামাজ আদায়ের সময়সহ দিনদুপুরে হিলি স্থলবন্দর এলাকা ও গভীর রাতে বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে।
স্থানীয়রা জানান, হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভা এলাকাধীন দক্ষিণ বাসুদেবপুর মহল্লার চুড়িপট্টি জামে মসজিদে গত ৬ অক্টোবর একই মহল্লার বাসিন্দা ও অত্র মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম এশার নামাজ আদায়ের জন্য তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মসজিদের সামনে রেখে নামাজ আদায় শেষে বের হয়ে দেখেন মোটরসাইকেলটি নেই, গত ২৬ আগষ্ট ডাঙ্গাপাড়া বাজারের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বাজার এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যায়, গত ২৭ আগষ্ট জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন ধিয়াস গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেন উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে একটি জানাজায় এসে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চোরেরা নিয়ে যায়, গত ২৮ আগষ্ট পৌর এলাকার মধ্যবাসুদেবপুর মহল্লার বাসিন্দা ও দৈনিক আমার সংবাদ হাকিমপুর প্রতিনিধি তারিকুল সরকারের বাড়ি থেকে গভীর রাতে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়, গত ২রা জুন পৌর এলাকাধীন ধরন্দা মহল্লার মঈনুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দিনদুপুরে হিলি স্থলবন্দর এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যায়, গত ১৫ মার্চ পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আতাউর রহমান মিলন তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হিলি চেকপোস্ট গেট জামে মসজিদের সামনে রেখে যোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা নিয়ে যায়। মোট ৬ টি মোটরসাইকেল চুরি করে নিরাপদে পালিয়ে যায় চোরেরা। এরপর সবকটি চুরির ঘটনায় স্ব স্ব মোটরসাইকেল মালিকগণ হাকিমপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকার ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার কিংবা এই চোর চক্রের সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি কিন্তু পুলিশের কোন ভুমিকা নেই। ডাঙ্গাপাড়া বাজারের ফারুক হোসেন জানান, আমি এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে গত শনিবারও কথা বলেছি তিনি জানান চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নবাবগঞ্জের ফারুক হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমি হাকিমপুর থানায় জিডি দায়ের করলেও এ পর্যন্ত থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কেউ কোন রকম যোগাযোগ করেনি। তারিকুল সরকারকে মামলার আই ও এস আই জুয়েল রানা জানান,এপর্যন্ত কোন ট্রেস করতে পারিনি তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মঈনুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পরও পুলিশের ভুমিকা না থাকায় পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। পরিশেষে আতাউর রহমান মিলন জানান, পুলিশের কোন পদক্ষেপ নেই। কোন গুরুত্বও নেই। এটাকে পুলিশ ফোর সাবজেক্ট মনে করছেন। এভাবে পুলিশের প্রতি আস্থা কেমন করে থাকে?
হাকিমপুর থানার ওসি মো. আবু সায়েম মিয়া জানান, এখনো কোন চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার কিংবা কোন চোরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: দিনাজপুর হিলি সীমান্ত মোটরসাইকেল চুরি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।