নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির ডিজি
মিয়ানমার থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব আছে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২০
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক সাকিল আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক বিজিবি। মিয়ানমার থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব বিজিবির আছে। মর্টার শেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মিয়ানমার কূটনৈতিকভাবে উত্তরও পাঠিয়েছে।
সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। রেজুপাড়া বিওপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক।
সীমান্তের ওপারে যতই সংঘর্ষ হোক, তার আঁচ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পড়তে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও চেষ্টা চলছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির (বর্ডার গার্ড পুলিশ) সঙ্গে পতাকা বৈঠক করার। শিগগিরই ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের উচ্চপর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
টানা ১১ দিন পর গতকাল রোববার রাত থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুরু হয়েছে গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ। এতে আতঙ্কে আছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফের পালংখালী ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। রোববার রাত ১১টা থেকে শুরু হয় গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে। এ রকম পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে। সীমান্তের ওপারে যে সমস্যা, তা তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সেটি তারা বুঝবে।
সূত্র জানায়, দুই মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই চলছে। এর প্রভাব পড়ছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে। আতঙ্কে চাষাবাদ এবং মৎস্য ও কাঁকড়া খামারে যেতে পারছেন না ৩১টি গ্রামের মানুষ।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।