সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নতুন বিধি-নিষেধ
টেকনাফ থেকে | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২১, ১৮:৪৬
বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র প্রবালসমৃদ্ধ একমাত্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
তাই পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখতে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদফতর।
বিধি নিষেধ গুলো হচ্ছে-
দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না। সেই সাথে সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।
পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব দিকের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না
জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা,রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।
সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না। সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কিংবা বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।
ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত কিংবা নোঙর করা যাবে না। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকারের অধিগ্রহণ করা ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না
প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না
দ্বীপে সুপেয় পানির পরিমাণ সীমিত হওয়ায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।