সেতুর মাধ্যমে যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে

গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:২৭

সেতুর মাধ্যমে যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর করিম সেলিম এমপি বলেছেন, ৯৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ সেতুর মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার অন্ততঃ ২০ গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে। এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর উপর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ জেলার মানুষের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছিলো। তাই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ জেলার উন্নয়নে একটা মাস্টার প্লান তৈরি করি। সেই মাস্টার প্লান অনুযায়ী গোপালগঞ্জের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এ জেলায় এমন কোন রাস্তা বা ব্রিজ নেই যা নির্মাণ করা হয়নি। এখন গোপালগঞ্জের মানুষের কোন অভাব থাকবে না।

শেখ সেলিম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমাদের দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। আজই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের মধ্যে জমিসহ ঘর বিতরণ করেছেন।

প্রত্যেকটা মানুষকে বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগের আদর্শ নিয়ে বাচঁতে হবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম এমপি বলেন, বাংলাদেশে আর কোন গরীব মানুষ থাকবে না। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবো।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরঘাঘা এলাকায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠান নির্মাণাধীন ব্রিজের প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমীন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, জালালাবাদ ইউ.পি চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সদর উপজেলার চর ধলাইতলা গ্রামের গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাকে আলাদা করে রেখেছে মধুমতি নদী। এ নদী পার হয়ে চলাচল করতে হয় দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে। সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে পরতে হতো নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

সদর উপজেলার মাসুদ পারভেজ বলেন, দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে গোপালগঞ্জ ও লড়াইল জেলার মানুষের। এ সেতুটি হলে অল্প সময়ের মধ্যে গোপালগঞ্জবাসী নড়াইল হয়ে যশোর এবং নড়াইল ও যশোরের মানুষ গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকা যেতে পারবে। এতে খুশি আমরা।

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ঘাঘা লোহাগড়া গ্রামে,র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, এ নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ হলে দুই পাড়ের অন্তত ২০ গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষ সহজেই যাতায়েত করতে পারবে। সেই সাথে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে, কৃষি পণ্য আনা নেয়াসহ শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

এলজিইইড “পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প” এর আওতায় ৯৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন গোপীনাথপুর-ঘাঘাধলাইতলা সড়কের মধুমতি নদীর উপর ৭৮৮.৯০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ব পূরণ হতে চলেছে গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের লক্ষাধিক মানুষের।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top