চার মাসে হাতে কোরআন লিখলেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫২
পবিত্র কোরআন লিখেছেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ সেলিম উদ্দিন রেজা। টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় কোরআন শরিফের ৩০ পারাই হাতে লিখেছেন তিনি। কয়েকটি কপি করে বাঁধাই করে রেখেছেন মাদরাসাশিক্ষার্থীদের জন্য৷
সেলিম উদ্দিন রেজা (২০) নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রমত্তর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ অসুরখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জামে মসজিদে খাদেম হিসেবে কর্মরত সেলিম উদ্দিন। টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় মসজিদের ভেতরে বসেই এ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হাতে লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি পাশ্ববর্তী দারউলুম মাদ্রাসার ছাত্র। কয়েকটি কপি করে বাঁধাই করে রেখেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য।
সেলিম জানান, ছোটবেলায় তার হাতের লেখা একেবারেই ভালো ছিল না। এজন্য হুজুররা অনেক সময় বকেছেন তাকে। মায়ের হাতে পিটুনিও খেতে হয়েছে।
এক সময় সিদ্ধান্ত নেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখবেন। সেই মসজিদের খাদেমের পারিশ্রমিকের কিছু টাকা জমিয়ে খাতা কলম কিনে তিনি কুরআন মাজিদের কপি দেখে লেখা শুরু করেন মসজিদের ভেতরে বসেই। টানা চার মাস পর লেখা সম্পূর্ণ হয়।
স্থানীয়রা বলেন, লেখা শেষ করে হুজুরদের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সেলিম। প্রথমে তারা বিশ্বাস করেননি যে, সত্যি সত্যি পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছেন। সেলিম তাদের এসে দেখে যেতে বলেন। বাসায় এসে তারা তা দেখে জানান, একেবারে হুবহু হয়েছে। সেলিমের হাতে লেখা কোরআন পড়া যাচ্ছে। সবাই তাকে সাধুবাদ জানায়।
সেলিম রেজা বলেন, পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছি নিজের ভালো লাগা থেকে। এই পবিত্র কোরআনের কপি আমি কখনোই বিক্রি করব না। আমি আলোচনায় আসার জন্য হাতে পবিত্র কোরআন লিখিনি।
তবে এখন ভাবি, আমার এ কাজ দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতেও পারে। আর হাতে লেখা পবিত্র কোরআনটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে আমি যখন থাকব না তখনও আমার এ কাজ মানুষের কাছে সংরক্ষিত থাকবে। পবিত্র কোরআন মাজিদ যদি কেউ পড়েন তবেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।