• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো চাষিদের মাথায় হাত

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪, ১৬:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে ফেনীতে নুয়ে পড়েছে কৃষকের পাকা বোরো ধান। কিছু স্থানে ডুবে আছে পানিতে। এতে ধানে চিটার পরিমাণ বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা কৃষকের।  

কৃষি বিভাগ বলছে, ধান যেহেতু ৮০ শতাংশের মতো পেকেছে, সেক্ষেত্রে চিটার আশঙ্কা নেই। তবে হারভেস্টিং খরচ কিছুটা বাড়তে পারে। এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও মাঠ পর্যায়ে ধান দ্রুত তুলে নিতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।  

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বীরচন্দ্র নগর গ্রামের কৃষক আজহারুল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কিনা জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে। বাতাস হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব শফিউল্লাহ। নিজে গায়ে গতরে খেটে পরের ৮০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছিলেন বোরো ধান। সবমিলিয়ে খরচ পড়েছে হাজার পঞ্চাশের মতো। আশা করেছিলেন পাকা ধান ঘরে তুলে তৃপ্তির হাসি হাসবেন। কিন্তু তা আর হলো না। গতকালের কালবৈশাখী ঝড় ও তুমুল বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে তার ধান। হয়ে পড়েছে জলমগ্ন। এখন অর্ধেক ধানও ঘরে তুলতে পারেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।  

এমন চিত্র শুধু কৃষক শফিউল্লাহর জমিতেই নয়। জেলার সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঁঞার আরও বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে পাকা বোরো ধান। মাঠের ধান নিয়ে দিশেহারার দশা কৃষকদের।  

আবুল কালাম নামে আরেক কৃষক জানান, তিনি ১২০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধান পুরোপুরি পাকেনি। বৃষ্টির কারণে ধান নুয়ে পড়েছে। ৪০ শতাংশ ধানও তুলতে পারবেন কিনা শঙ্কা রয়েছেন।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ধান পেকে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে ফসল রক্ষায় জমির ধান ৮৫ শতাংশ পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টি স্থায়ী না হলে আশা করি কৃষকের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top