মাদারীপুরের দুই পুলিশ কনস্টেবল সাসপেন্ড
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৪, ১৮:৩৮
মাদারীপুরের সেই দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়ায়। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির
বরখাস্ত দুই কনস্টেবল হলেন শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। তাদের মধ্যে রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম। অপরজন তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা আদালতের পুলিশের শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।দুই পুলিশ
রতন দাস বলেন, পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে টালবাহানা করছে।
আমার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।
অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবি দাস বলেন, আমি ধারদেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। সে চাকরি দিতে পারেনি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি।
অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করেন। তার দাবি, তিনি টাকা গ্রহণ করেননি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির জানান, তদন্তে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
২০২২ সালের ১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার কনস্টেবল পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের রবি দাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ সময় রতনকে দেয়া হয় তানজিলা আক্তারের পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক। চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে।
এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রতন দেখতে পান যে তার নাম নেই। পরে তিনি একাধিকবার পাওনা টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে অভিযুক্ত দুজন টালবাহানা শুরু করেন। ভুক্তভোগী পরে অভিযুক্ত দুজনের বিচার ও টাকা ফেরত চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন।
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বিষয়: দুই পুলিশ কনস্টেবল সাসপেন্ড দুই পুলিশ সাসপেন্ড পুলিশ কনস্টেবল সাসপেন্ড পুলিশ সাসপেন্ড পুলিশ কনস্টেবল সাসপেন্ড কনস্টেবল সাসপেন্ড
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।