রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কক্সবাজারের গর্জনিয়া সীমান্তে চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ, পুলিশের সাথে চাঁদা আদায়ের তথ্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৪

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্ত দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চোরাচালান। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মিয়ানমার থেকে গরু, মাদক ও চোরাই পণ্য ঢুকছে, আর দেশের দিকে যাচ্ছে নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এসব চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে তাদের অবাধ যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছে। পুলিশের ‘অঘোষিত ক্যাশিয়ার’ মো. ফোরহান ওরফে সোহেল (২৮) reportedly চোরাকারবারিদের কাছ থেকে দিনে দুই লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করছেন। এসব টাকা ফাঁড়ির ইনচার্জ শোভন কুমার সাহার সঙ্গে ভাগ-বাঁটোয়ারা করা হচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও একজন জনপ্রতিনিধি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, সিমেন্ট ও অন্যান্য নিত্যপণ্য। মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা ও আইসসহ গরু। প্রতি গরুর জন্য গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে মাদকের চালান গরুর বহরে লুকিয়ে আনা হয়।

এছাড়া, গর্জনিয়া বাজার ও আশপাশের সড়কে অবৈধভাবে চলা মোটরসাইকেল, টমটম ও জিপ/পিকআপ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিনের এসব চাঁদা ফাঁড়ি সদস্যদের মদতে চলে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বাংলা বলেন, “আমি এখানে যোগ দেওয়ার পরও পুরো এলাকাটির বাস্তব অবস্থা জানতে পারিনি। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ করার সুযোগ কারও নেই।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top