গোবিন্দগঞ্জে সরকারী লিজকৃত পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগ
গোবিন্দগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২১, ১৭:১৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানচূড়া এলাকার বাসিন্দা বেলালের নেতৃত্বে মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯ মার্চ শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, কামদিয়া ইউনিয়নের বইলগ্রামের বাসিন্দা ও বইলগ্রাম মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম ছাতিয়ানচূড়া মৌজায় অবস্থিত মরাগাড়ী পুকুরটি সরকার থেকে লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করে আসছে। শুক্রবার গভীর রাতে বেলালসহ ১০-১২ জন লোক মাছ শিকারের জন্য জাল নিয়ে পুকুরে অনধিকারে অনুপ্রবেশ করে। তারা পুকুরে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুকুরের পাহাড়াদার বাধা দিতে গেলে বেলালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী পাহাড়াদার মোঃ রহিম (৪০) কে ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মাছ শিকার করে চলে যায়। মাছ শিকারের মুহূর্তের মধ্যেই এ ঘটনা আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে অর্ধশতাধিক লোক জড়ো হয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখায়। ছাতিয়ানচূড়ার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেলালের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী বাহিনী ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মত কাজ করে মাদক সেবন করে। মাদক সেবনের অর্থ যোগার করতে গিয়েই তারা এসব অপকর্ম করে। তাদের এসব কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট।
মৎস্য ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘদিন থেকে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। বেলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার লীজকৃত পুকুরের মাছ চুরি যে ক্ষতি করেছে তা পূরন করতে অনেক সময় লেগে যাবে। আমি এই চুরির ঘটনার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনসহ ৭ জনকে আসামী করে গোবন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, কামদিয়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানচূড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লোকমানের পুত্র বেলাল, মৃত মোজাহার এর পুত্র খোরশেদ, মৃত উকিলের পুত্র মোঃ আমিনুর, মৃত তাহাজ উদ্দিনের দুই পুত্র মোঃ রোস্তম ও মোঃ শুকুর আলী, মৃত সেকেন্দার আলীর পুত্র মোঃ লাইফ এবং ইউনিয়নের এনায়েতপুরের বাসিন্দা মোঃ বাবুলের পুত্র মোঃ লেবু।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
বিষয়: গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।