বৃহঃস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর রাস্তাটির বেহাল অবস্থা

গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১, ২০:১৭

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর রাস্তাটির বেহাল অবস্থা

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মিয়ার বাড়ির মসজিদ থেকে রহমতপুর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর হয়ে নানা স্থানে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে ঘন্টাব্যাপি সময় লাগে। তার পরেও অনেক জায়গায় ভ্যান, রিক্সা এমনকি মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে যেতে হয়। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনাও।

কারণ বিগত বন্যায় একাধিক স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গ্রামে পানি ঢুকে। যার সামান্য কাজ হলেও অল্প বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে জনসাধরণ চরম ভোগান্তির স্বীকার। ওই রাস্তায় চেনা অচেনা কোন লোকজন যানবাহন নিয়ে পার্শ্ববর্তী থানায় যাওয়ার কথা ভাবলে যেন ফাঁদে পা আটকে যাওয়ার সামিল। সাদুল্লাপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে রসুলপুর গ্রামের ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুই দিকের বিভিন্ন স্থানে সরকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সেখানে রয়েছে একাধিক ভোট কেন্দ্র।

যুগের পর যুগ ধরে তারা উন্নত যাতায়াতের সেবা হতে বঞ্চিত। ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুড়ি মেলে দেয় ইউপি এবং এমপি একাধিক প্রার্থীরা।বাস্তবে আজও তার কোন প্রতিফলন ঘটে নাই।ওই রাস্তায় উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩টি, রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসা, ২টি এতিম খানা,৩টি বাজার।এছাড়াও রয়েছে রাস্তার পাশ ঘেঁষা ১১ টি জামে মসজিদ ও ঈদ গা মাঠ।এলাকাবাসী জানায় বর্তমান সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে রাস্তাঘাটের যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে তার কিঞ্চিত পরিমাণ ছোঁয়াও লাগেনি আমাদের এলাকায়।

আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এ রাস্তাটি যদি সংস্কার বা পাকা করন করা হত তাহলে এ এলাকার মানুষের অনেক উপকার হত বলে জানান অনেকে।তারা আরো জানায়- সামান্য বৃষ্টি হলেই সাদুল্লাপুর শহরে কৃষি পণ্য আনা নেয়া থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাদের। যেন দেখার কেউ নেই। এলাকার সাধারণ জনগণ মনে করেন আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তা সংস্কারসহ পাকা করন করলে জনদূর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে । এ ব্যাপারে সরকারের
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top