সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০০:৪০
গ্রামের সহজ সরলা অবলা কিশোরী পড়ে এক প্রতারক প্রেমিকের খপ্পরে। অবুঝ ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক প্রেমিক কেড়ে নেয় তার নারীসত্তা।
বিয়ের জন্য চাপ দিলে চতুর প্রেমিক শেষবারের মতো যৌনমিলনের পর প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। উপায়হীন হয়ে কিশোরী ঘটে যাওয়া বিষয়ে তার পরিবারকে জানালে স্থানীয়দের নিয়ে দেন-দরবারের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতারক প্রেমিক ও তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা ধুলিয়া টেপাদহ গ্রামে। পরে গত ৫ এপ্রিল কিশোরীর মা ছাহেরা খাতুন বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। কিশোরীর বাবা মোশারফ হোসেন তারাগঞ্জ হাটে একটি টং দোকানে হোটেল ব্যবসা করেন।
মোশারফ ও ছাহেরা বেগম দম্পত্তির ছিল না অক্ষরজ্ঞান। নিজেরা শিক্ষার আলো না দেখলেও মেয়েকে সেই আলোয় আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। ঝড়ের কবলে পড়ে, সব স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়। স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার অবলা কিশোরী জেলা সদরের চাপড়া ছোট ঢিং পাড়ার ব্যবসায়ী বুলবুল ইসলামের প্রেমে পড়ে। তার পিতা ওই ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার জমসের আলি।
ধর্ষিতা কিশোরী বলেন, আমাদের এক বছরের সম্পর্ক। বুলবুল আমার সবকিছু শেষ করেছে। আমি তার সাথে সংসার করতে চাই। সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আমি এ জীবন রাখবো না।
এদিকে, মামলার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও প্রতারক প্রেমিককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি ও বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছাহেরা।
মেয়েটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, বুলবুল এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরছে না। তিনি একজন দরিদ্র মানুষ, এ কারণে পুলিশ তার কথা আমলে নিচ্ছে না বলে জানান ছাত্রীর বাবা। তার অভিযোগ একটি প্রভাবশালী মহল বুলবুলের পক্ষে কাজ করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান তিনি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে বুলবুল এলাকা ছাড়া। তাকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই সে ধরা পড়বে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।