গণ ডাকাত দলের আসামীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি
দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ০৭:৩৪
দিনাজপুরের হাকিমপুরের বোয়ালদাড় সড়কে গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে গণ ডাকাতির মামলার আটককৃত পলাতক আসামী সুজন মিয়া (১৯) শনিবার দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলাধীন তার নিজ এলাকা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়ার এনায়েতপুর ধর্মপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৩১ মার্চ রাতে বোয়ালদাড় সড়কে গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে সংগঠিত গণ ডাকাতি মামলার এজাহার ভুক্ত ২নং আসামী সুজন মিয়ার অবস্থান র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক এবং হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলাটির আই ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান নির্ণয় করে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করেন।
এর আগে গত ১ এপ্রিল রাতে ডাকাতি সংগঠিত স্থলের পার্শ্ববর্তী মাঠের ধানক্ষেত হতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনতা এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামী মো. মনিরুল ইসলাম (২১) কে আটক করেন। এ ঘটনার স্বীকার বোয়ালদাড় খান পাড়া গ্রামের মো. মুশফিকুর রহমান মুন্না ঘটনার পরদিন বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
ডাকাত দলের সদস্যরা ১০/১৫ জনের পথরোধ করে স্বর্ণালংকারসহ মোবাইল ফোন ও টাকা লুট করা কালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওসি মো. ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় কিন্তু ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সকলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মো. মনিরুল ইসলামকে আটক করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে হাকিমপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে পলাতক আসামী দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: দিনাজপুরের হাকিমপুর গণ ডাকাতি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।