কোভিড-১৯ প্রতিরোধে
ঘোড়াঘাটে জরুরি ভাবে পাঁচটি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১, ০৫:২৭
কোভিড-১৯ এর ২য় ধাপে চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষায় ভারত ফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পাঁচটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে স্থাপিত পাঁচটি কোয়ারেন্টাইনগুলো হলো- ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ওসমানপুর হাই স্কুল, দীপশিখা এনজিও, টালিথাকুমী মিশনারী এবং খোদাতপুরে অবস্থিত পর্যটন মোটেল শরীফ কোটেজ।
দেশের এ বৃহত্তম হিলি সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র রুড হাকিমপুর হতে ঘোড়াঘাট হয়ে গোবিন্দগঞ্জ সহ দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল। এ কারণে ভারত ফেরত যাত্রীদের শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য উপজেলার মতো ঘোড়াঘাট উপজেলায় পাঁচটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: নূর নেওয়াজ আহম্মেদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, বিরামপুর উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থাপন করা হয়েছে।
ভারত থেকে আসা যাত্রীদের পাসপোর্ট এমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জমা রেখে এই উপজেলা গুলির কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হবে এবং এখানে যাত্রীরা ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। উপজেলা নির্বাহী আরো ঘোড়াঘাটে যে পাঁচটি অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন স্থাপন করা হয়েছে সেখানে প্রায় ৪০ জনকে রাখার ব্যবস্থা আছে। তবে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সংখ্যা বেশি হলে আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: নুর নেওয়াজ আহম্মেদ আরো জানান, এসব ভারত ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর কারও শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় এবং কোভিড টেস্টে যদি করোনা পজিটিভ আসে তাহলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।