আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ঈশ্বরদীতে জলাবদ্ধতা
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২১, ০৫:৫১
৪৮ ঘণ্টার বর্ষণে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের অধিকাংশ নিচু এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে থেমে থেমে বর্ষণ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শহরের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকে জলাবদ্ধতায় আটকা পড়েছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে ১০৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দুই-এক দিন এমন বৃষ্টিপাত হতে পারে।
দেখা গেছে, শহরের আমবাগান, ফতেমোহাম্মদপুর, হাসপাতাল পাড়া, লোকো কলোনি, পিয়ারাখালী, রহমান কলোনি, দড়িনারিচা পশ্চিমটেংরী, বাবুপাড়া, রহিমপুর, শৈলপাড়া, রহিমপুর, স্কুলপাড়া, ভাটাপাড়ার নিচু এলাকায় বাড়িঘরে পানি উপচে পড়ছে। জমে থাকা এই পানিতে পলিথিন, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ আর কচুরিপানা ভাসছে। পানি প্রবেশ করায় অনেকে বালতি বা মগ দিয়ে সেচে ঘর থেকে পানি বের করছেন।
আমবাগান এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনির আহম্মেদ আক্ষেপ করে বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় থাকি। অথচ বৃষ্টির দিনে আমরা নোংরা পানিতে আটকে হাবুডুবু খাই। এরচেয়ে নাগরিক কষ্ট আর কী হতে পারে বলুন? জলাবদ্ধতায় আমরা এখন বাড়িতে আটকে আছি।
পশ্চিমটেংরীর এলাকার বাসিন্দা শহীদ হোসন মণ্ডল বলেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ায় কষ্টে আছেন এলাকাবাসী। শহরের আমবাগান পুলিশ ফাঁড়িও পানিতে ডুবে আছে। ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, একটু বৃষ্টি হলে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তখন তাদের চেয়ার-টেবিল বা খাটের উপর বসে কাজ করতে হয়।
ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য তিনদিন ধরে পৌরসভার কর্মীদের নিয়ে তিনি কাজ করছেন। মূল সমস্যা হচ্ছে নালার মুখগুলো ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া। এতে মোকাররমপুর এলাকায় প্রধান নালাটির মুখ ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। আগামী বাজেটে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: ঈশ্বরদী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।