মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফলের বাজারে অস্থিরতা, রমজানে দাম আরও বাড়ার শঙ্কা

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি আপেল কিংবা কমলা রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে চড়া দামে মৌসুমেও এসব ফল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। আমদানিকারকদের দাবি, উচ্চশুল্কের বাড়তি চাপেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এতে আসন্ন রমজানে বিদেশি ফলের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আপেল–কমলাসহ পাঁচ ধরনের ফলকে বিলাসী আমদানির তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে

সরজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়—বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফলের পসরা থাকলেও ক্রেতা প্রায় নেই বললেই চলে। দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে আপেল–কমলা।

বর্তমানে বাজারে

  • আপেল: ৩৫০–৪০০ টাকা/কেজি

  • মাল্টা: ২৮০ টাকা/কেজি

  • কমলা: ৩৪০–৩৬০ টাকা/কেজি

  • আনার: ৫০০–৬০০ টাকা/কেজি

  • আঙুর: ৪০০–৫৫০ টাকা/কেজি

ক্রেতারা বলছেন, ফল এখন ‘বিলাসিতা’। দামের হেরফেরের কারণে অনেকেই এক–দুই পিসের বেশি কিনতে পারছেন না।

সদরঘাটের বাদামতলী পাইকারি বাজারে আমদানিকারকরা জানালেন উচ্চশুল্কই মূল সমস্যা।

আমদানিকারক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন রমজান ঘনিয়ে এসেছে। এখন পর্যাপ্ত ফল আমদানি না করলে বড় ধরনের ঘাটতি হবে। কিন্তু উচ্চশুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, ফলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে দাম।”

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির মনে করেন, আপেল–কমলা–মাল্টা–আঙুর–নাশপাতির মতো ফলকে ‘বিলাসী আমদানিপণ্য’ ধরা অযৌক্তিক।

তিনি বলেন “দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা ফলের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক থাকলেও এসব ফলকে বিলাসী হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এতে সাধারণ ক্রেতা বৈষম্যের শিকার হন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে এসব ফলের স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাণিজ্যিক পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি নীতি সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন তারা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top